চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় এক তরুণীকে মা’রধ’র করে ফের আলোচনায় এসেছেন ‘লেডি গ্যাং লিডার’ তাহমিনা সিমি। বাসায় ঢুকে এক তরুণীকে পি’টিয়ে জেলে যাওয়ার ছয় মাসের ব্যবধানে আরেক তরুণীকে সহযোগীকে দিয়ে মা’র খাইয়ে আলোচনায় এসেছেন এই কিশোরী। এ ঘটনায় পুলিশ তাকে আটক করেছে।
শনিবার নগরীর ইপিজেড থানার সিমেন্ট ক্রসিং এলাকা থেকে তাকে আটক করা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে পতেঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, পতেঙ্গার সৈকত এলাকায় এক মেয়েকে মা’রধ’র ও হু’মকি দেওয়ার একটি ভিডিও পুলিশের হাতে এসেছে। ওই তরুণীকে মা’রধ’রের ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। মামলা হলে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
মিজানুর রহমান আরও বলেন, সিমির সঙ্গে ওই তরুণীর আগে থেকেই ঝামেলা ছিল। সিমি নগরীর ইপিজেড থানার সিমেন্ট ক্রসিং বড়বাড়ি এলাকার নুর ইসলামের মেয়ে। আর ভুক্তভোগী তরুণীও ইপিজেড এলাকায় থাকেন। তার বাড়ি বাগেরহাটে।
ভাইরাল হওয়া এক মিনিটের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, নেভাল এলাকায় এক তরুণীকে বেধড়ক চড় থাপ্পড় দিচ্ছে সিমি ও তার এক সহযোগী। ওই সময় সিমিকে বলতে শোনা যায়, ‘তুই আমাকে চিনস? আমি বললে, এখান থেকে তোকে কেউ বাঁচিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না।’
এ সময় নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী সিমির হাত ধরে অনুনয় করতে থাকেন। সিমি বলেন, ‘তুমি জানো আমি বললে তোমার লা’শ ফেলে দিবে এখানে।’ তবে সিমির ছেলে বন্ধুটির পরিচয় পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, পতেঙ্গা এলাকার বাসিন্দা তাহমিনা আক্তার সিমি ছোটবেলা থেকেই ডানপিটে ছিলো। তবে ছয় বছর আগে বাবা কামাল হোসেনের মৃত্যুর পর স্থানীয় একটি কলেজের এই শিক্ষার্থী বেপরোয়া হয়ে উঠে। এর মধ্যে গত বছরের ২৪ আগস্ট বাসায় ঢুকে এক তরুণীকে বেধড়ক মা’রধ’রের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর আলোচনায় আসেন এই তরুণী। ওই ঘটনার দায়ের করা মামলার জেরে সেসময় আটক হয়ে কারাগারে গিয়েছিলেন এই লেডি কিশোর গ্যাং নেত্রী।
সূত্র : ঢাকাটাইমস